Muhammad Shakil Sarker| Md. Shakil Sarker| Sajek Valley|মো: শাকিল সরকার

১. সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর(রাঃ) এর খিলাফত থেকে যে যে শিক্ষা লাভ করতে পারি, পাঠ্য বইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলোঃ হযরত উমর ফারুক (রাঃ) ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা। ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর ইন্তিকালের পরে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী হযরত উমর (রাঃ) ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা নির্বাচিত হন। রাজ্যশাসনে তিনি রাসুল (স.)এর আদর্শ অনুসরণ করতেন ।আইনের চোখে সকলকে সমানভাবে দেখতেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন যেমন কঠোর তেমনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে তিনি ছিলেন অতি কোমল। তার শাসনামলে রাজ্যে কোনো অভাব অনটন ছিলনা।
তিনি ডাক বিভাগ প্রবর্তন, সাম্য ও ন্যায়ের বাস্তব শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। জনকল্যাণে তিনি অসংখ্য মসজিদ, বিদ্যালয়, সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করেন। পানির জন্য তিনি অনেক খালও খনন করেন। অল্প কথায় বলা যায়, হযরত উমর(রাঃ) এর সরলতা ও কর্তব্যজ্ঞান ছিল তার জীবন আদর্শ।ন্যায়পরায়ণতা ও একনিষ্ঠতা ছিল তার শাসনামলের মূলনীতি। উমর(রাঃ) এর খিলাফত থেকে নিচের শিক্ষাগুলো লাভ করতে পারি।
১.সর্বক্ষেত্রে মহানবী (স.) আদর্শ অনুসরণ করা
২.সমাজের সকলকে সমান চোখে দেখা
৩.ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কঠোর হওয়া
৪.মানুষের দুঃখ-কষ্ট কোমল হওয়া ও সাহায্য করা
৫.সমাজের অভাব অনটন দূর করা
৬.সাম্য ও ন্যায়ের বাস্তব শাসন প্রতিষ্ঠা করা
৭.জনকল্যাণে মসজিদ, বিদ্যালয়, সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করা ইত্যাদি
২. প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর(রাঃ)। ব্যাখ্যা করা হলোঃহযরত উমর ফারুক (রাঃ) ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা। ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর ইন্তিকালের পরে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী হযরত উমর (রাঃ) ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা নির্বাচিত হন। তা অধিকাংশ সাহাবী সমর্থন করেন।হযরত উমর(রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। এসময় রোম, পারস্য, সিরিয়া, মিশর ও ফিলিস্তিন মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। রাজ্যশাসনে তিনি রাসুল (স.)এর আদর্শ অনুসরণ করতেন ।আইনের চোখে সকলকে সমানভাবে দেখতেন। এমনকি মদ্যপানের অপরাধে স্বীয় পুত্র আবু শামাকে শাস্তি দানে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি । ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন যেমন কঠোর তেমনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে তিনি ছিলেন অতি কোমল। তিনি সাধারণ প্রজাদের অবস্থা জানার জন্য রাতের আঁধারে একাকী বের হয়ে পড়তেন। প্রয়োজনে তিনি নিজের কাঁধে খাদ্য সামগ্রী বহন করে গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন। তার শাসনামলে রাজ্যে কোনো অভাব অনটন ছিলনা। সে সময় কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল।
তিনি ডাক বিভাগ প্রবর্তন, সাম্য ও ন্যায়ের বাস্তব শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিজরী সন প্রবর্তন করেন। জনকল্যাণে তিনি অসংখ্য মসজিদ, বিদ্যালয়, সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করেন। পানির জন্য তিনি অনেক খালও খনন করেন। তার সময়েই আরবে সর্ব প্রথম আদমশুমারি চালু হয় । ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় তিনি বায়তুলমাল থেকে প্রাপ্ত কাপড় সেই পরিমাণ গ্রহণ করতেন যে পরিমাণ সকলের জন্য নির্ধারিত ছিল। তাছাড়া জেরুজালেমে যাওয়ার পথে ভৃত্যকে উটের পিঠে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরার দৃষ্টান্ত একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরল ঘটনা।ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, 'অল্প কথায় বলা যায়, হযরত উমর(রাঃ) এর সরলতা ও কর্তব্যজ্ঞান ছিল তার জীবন আদর্শ।ন্যায়পরায়ণতা ও একনিষ্ঠতা ছিল তার শাসনামলের মূলনীতি।'
সুতরাং বলা যায়, প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর(রাঃ)।
Comments
Post a Comment