Muhammad Shakil Sarker| Md. Shakil Sarker| Sajek Valley|মো: শাকিল সরকার

১. পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয। ব্যাখ্যা করা হলোঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। যে সকল কারণে অভিকর্ষজ ত্বরণ পরিবর্তিত হয় তা নিচে বর্ণনা করা হলো।
ক.ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানেঃ পৃথিবীর আকৃতি ও আহ্নিক গতির জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয়।
পৃথিবীর আকৃতির জন্যঃ পৃথিবী সুষম গোলক না হওয়াই পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের সকল স্থান সমদূরে নয়। যেহেতু অভিকর্ষজ ত্বরণ এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বের উপর নির্ভর করে, তাই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের পরিবর্তন হয়।
পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্যঃ পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য অভিকর্ষজ ত্বরণ বি
বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
খ.ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতর কোনো স্থানেঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠা যায় অভিকর্ষজ ত্বরণের মানও তত কমতে থাকে।
গ. পৃথিবীর অভ্যন্তরে কোনো স্থানেঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে যত নিচে যাওয়া যায় অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ততই কমতে থাকে। পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য।
২. পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি চাঁদে আমার ওজন কমে যায়। ব্যাখ্যা করা হলোঃ আমরা জানি, বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণ এর উপর নির্ভরশীল। সুতরাং যে সকল কারণে অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন ঘটে সে সকল কারণে বস্তুর ওজনও পরিবর্তিত হয়। বস্তুর ওজন বস্তুর মৌলিক ধর্ম নয়। চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মান অপেক্ষা অনেক কম। চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণের মান প্রায় পৃথিবীর ১/৬ ভাগ। ফলে কোনো বস্তুর ওজন চাঁদে পৃথিবী অপেক্ষা কম হয়।
আমার ভর ৫০ কেজি হলে,
চাঁদে ওজন =৫০ × (৯.৮÷৬) নিউটন
= ৮১.৬৭ নিউটন
পৃথিবীতে ওজন= ৫০× ৯.৮ নিউটন
=৪৯০ নিউটন
ওজনের পার্থক্য = ৪৯০-৮১.৬৭নিউটন =৪০৮.৩৩ নিউটন
সুতরাং বলা যায়, চাঁদে কোনে বস্তুর ওজন পৃথিবী অপেক্ষা অনেক কম।
৩.
একটি চকচকে কাঁচের গ্লাসে কিছু পানি নেওয়া হলো। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দেওয়া হলো।
I.গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটাকে সরাসরি দেখার চেষ্টা করলে, দেখা যাবে পাথরটি একটু উপরে উঠে এসেছে। এটি হলো তার অবাস্তব প্রতিবিম্ব। আলোর প্রতিসরণ এর ফলে এরকমটি ঘটেছে। আমরা জানি আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসরণের সময় অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
II. কিছুটা তীর্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা করলে, দেখা যাবে পাথরটি তারপরও দেখা যাচ্ছে। এটি আলোর প্রতিসরণের ফলে সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিসরণের ফলে আলো ঘন মাধ্যম পানি থেকে হালকা মাধ্যম বায়ুতে আমার চোখে প্রতিসরিত হওয়ায় আমি পাথরটির অবাস্তব প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছি।
III.গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখার চেষ্টা করলে, দেখা যাবে পাথরটি ছোট,মোটা এবং উপরে দেখা যাচ্ছে। আলোর প্রতিসরণ এমন হচ্ছে। এখানে ঘন মাধ্যম পানি থেকে আলো প্রতিসরিত হয়ে হালকা মাধ্যমে আমার চোখে প্রতিফলিত হচ্ছে। পাথরটির নিমজ্জিত অংশের প্রতিটি বিন্দু উপরে উঠে আসে। ফলে পাথরটিকে খানিকটা উপরে, দৈর্ঘ্যে কম এবং মোটা দেখায়।
Comments
Post a Comment